রবিউল আলম

বটতলা সম্মাননা ২০১৬
৯ ডিসেম্বর ২০১৬ শুক্রবার
চট্টগ্রাম বিভাগ

১৯৪৬ সালে ৩ নভেম্বর বগুড়ায় জন্ম রবিউল আলমের। পিতা জসিমউদ্দিন আহমেদ ও মাতা জমিলা খাতুন। কর্মজীবনে তিনি টিএসপি ফার্টিলাইজার, ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কোহিনূর কেমিকেলে ৩৫ বছরের কর্মজীবন শেষে অবসরগ্রহণ করেছেন। হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা শেষে (১৯৬৫) জীবনের প্রথম রচিত নাটক বর সংকট প্রযোজনা করেন জন্মস্থান বগুড়ার বারপুর গ্রামে। আর নাটকের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন চট্টগ্রামে। প্রথমে কর্মস্থল টিএসপি ও পরে কল্লোল থিয়েটারে- অভিনেতা- নাট্যকার রূপে (১৯৭২-১৯৭৩)। অতঃপর তির্যক নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার (১৯৭৪) মাধ্যমে গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনে যুক্ত হন। তির্যকের প্রথম নাটক জননীর মৃত্যু চাইএর রচয়িতা। এ ছাড়াও তির্যকের জন্যে নাটক লিখেছেন সাতটি। এরমধ্যে সমাপ্তি অন্যরকম, এক যে ছিল দুই হুজুর, আকাক্সিক্ষত একজন, বিপক্ষে বন্দুক অন্যতম। অনুবাদ করেছেন শেক্সপীয়রের অ্যাজ ইউ লাইক ইট। তির্যক নাট্য ত্রৈমাসিকে প্রকাশিত হওয়ার সুবাদে সত্তর-আশির দশকে তার রচিত নাটক দেশের সর্বত্র মঞ্চস্থ হয়। দলের বাইরে তার রচিত নাটকের উল্লেখযোগ্য প্রযোজনার মধ্যে রয়েছে নাপুস, রাজা সাহিত্য কারখানা, বিবি পাঠশালা, আকাশ পারের আগন্তুক এবং উল্টো ফাঁদে, মিশার কীর্তি এবং চলন বিলে কলঙ্ক। স¤প্রতি ঢাকার তিনটি দল তার তিনটি নাটকের নিয়মিত প্রযোজনা করছে- চলন বিল এবং রবীন্দ্রনাথের গল্পের নাট্যরূপ কঙ্কাল (নাট্যতীর্থ), নিঃসঙ্গ নিরাময় (নাট্যপ্রয়াস, মতিঝিল থিয়েটার)। উপরোল্লেখিত নাটকের বেশ কিছুর নির্দেশক রবিউল আলম নিজে।
রবিউল আলম বেতারে যুক্ত হন নাট্যকার হিসাবে ১৯৭৫ সালে। অতঃপর অভিনেতা ও পরে অতিথি প্রযোজক। তার বেশির ভাগ মঞ্চ নাটকের বেতার নাট্যরূপ প্রচারিত হয়েছে চট্টগ্রাম ও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বেতার কেন্দ্র থেকে। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের অভিনেতা ও নাট্যকার। তার রচিত উলেখযোগ্য টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে- বন্ধনহীন গ্রন্থি, অমি যখন বন্দী, পরাহত, শান্তা একদিন, কখনো সৈকতে, অজ্ঞাতবাস, ছায়াহীন বৃক্ষ, যার সাথে যার, বাঁধ ভেঙে দাও (বিটিভি); নিভৃত নিবাস (একুশে), উল্টো ফাঁদ (চ্যানেল আই), এক সকালে ও চন্দ্রাহত (এটিএন)। মঞ্চ, বেতার ও টিভি নাটক ছাড়াও রবিউল কয়েকটি পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্রে- আলগা নোঙর, হালদা’তে অভিনয় করেছেন। ১৪ টি নাট্যগ্রন্থসহ রবিউলের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৮। এর মধ্যে শেক্সপীয়র, মলিয়ের ও হ্যারল্ড পিন্টারের নাটকের তিনটি অনুবাদগ্রন্থও আছে। রবিউল আলম সম্পাদনা করেছেন তির্যক নাট্য ত্রৈমাসিক পত্রিকার (১৯৭৬-’৭৯) যার বারোটি সংখ্যায় পত্রস্থ হয় সে সময়ের ৩০ টি নাটক। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠিত তির্যক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকজন নাট্যকারের দশটি গ্রন্থ। আন্তর্জাতিক যুববর্ষ পদক চট্টগ্রাম (১৯৮৫), বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন-বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সংবর্ধনা (২০০৫), এ্যামবিশন সম্মাননা, বগুড়া (২০১০) ও আরণ্যক সম্মাননা (২০১৩) ও নান্দীমুখ সংবর্ধনা (২০১৫) অনুষ্ঠানে তিনি সম্মাননা পান।
চট্টগ্রামের নাট্যচর্চার অগ্রপথিক এমন একজন সৃজনশীল নাট্যজনের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্বীকার করে বটতলা। তিনি বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় এক বাতিঘর- ভাবীকালের মঞ্চকর্মীদের প্রেরণা। চট্টগ্রাম বিভাগের বটতলা সম্মাননা ২০১৬ রবিউল আলমকে দিতে পেরে বটতলা আনন্দিত।

Published by BotTala - a performance space

Theatre Technology, Aesthetics and Language through Action. It is an open space for performance that symbolizes the origin of rituals and performances in pre colonial Bengal. BotTala also signifies the great tradition of open oratory, poetry, music of Bengal and symbol of public space that belongs to none in specific but to all in general. BotTala as a performance space of twenty first century aspires to provide such an open platform to all theatre activists home and abroad to engage in their creative and intellectual endeavours. We, despite all odds, dream for a space promoting theatre for people, to search for tradition and heritage to speak up for the present and future. We also believe that there is no theatre estranged from politics and as such no politics detached from theatre of the colonial east. Therefore, BotTala’s theatre can never be removed from its base in history and tradition of Humanity as well as its vision for a changed tomorrow challenging authority in today’s theatre. As such, BotTala intend to encourage a space for professional theatre activism, which entails professional attitudes and behaviour in present forms of theatre and activism. BotTala calls for participation from all spheres of cultural activists and citizenry of the global village to engage, encourage, promote and support a new era in theatre activism and towards creating a new phase of cultural solidarity through BotTola.