৯ ডিসেম্বর ২০১৬ শুক্রবার | সন্ধ্যা ৭টা | ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি
নাটক ও নির্দেশনা: মারুফ কবির
দল: থিয়েটার (বেইলী রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ)
নাটক কাহিনী:
এই ব-দ্বীপ, যার বাসিন্দা আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা; আমাদের অসংখ্য নদী, খাল, জলাশয়ের চিহ্ন মানচিত্র থেকে মুছে ফেলে দিয়েছি কোনো কিছু বিবেচনায় না নিয়েই। বাংলা নামের ভূখল্ডের মানব জীবনের বিস্তার ঐতিহাসিকভাবে নদী ও ভূ-উপরিস্থ জলের উপর নির্ভর করে হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি, আচার, পেশা প্রায় পুরোটাই প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। ছয়টি ঋতুর পরিবর্তন, শষ্যের আবাদ আমাদের প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ডগুলোকে সুনিবিড়ভাবে বেঁধে দিয়েছে বৈচিত্র্যময় বাংলার অপরূপ প্রকৃতির সাথে। কিন্তু বন্ধন ছিনড়ব করার সব আয়োজনে আমরা উন্মত্ত। আমাদের দেশ যদি হয় মা; তবে মায়ের নাড়ি হলো দেশের অগনিত নদী-নালা, খাল-বিল। বেশিরভাগ নদীই এসেছে সীমান্তের ওপারের অন্য দেশগুলো হতে। নানা স্বার্থে বন্ধ করা হচ্ছে স্বাভাবিক প্রবাহ। দেশের ভেতর উনড়বয়ন নামের মিথ আর ভয়ংকর জনবিস্তার যে অপার সৌন্দর্যের আধার নদীমাতৃক বাংলায় বিদ্যমান ছিল তা ক্রমশ অপসৃয়মান করে তুলছে। জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে যে উপাদানগুলো নিয়ন্ত্রণ জরুরি ছিল তা ক্রমবর্ধমান অবহেলায় সামনের দিনগুলোতে নির্মমভাবে আমাদের ভোগাবে। মায়া নদী এই বাংলার নদীগুলোর সাথে মানুষের মায়াময় সম্পর্কের বর্ণনা। প্রতিটি মানুষ যারা প্রকৃতিকে অন্তরের ভেতরে প্রবলভাবে ধারণ করেন তাঁদের প্রত্যেকের মাঝে একটি নদী বাস করে। পশ্চিমা উনড়বত জীবন ব্যবস্থার অনুকরণে ভোগবাদীতার প্রতি অতিরিক্ত ঝুঁকে পরা আমাদের সেই মানবিক সম্পর্ক বিচ্ছিনড়ব করে দিচ্ছে দিনে দিনে। পানির উৎসস্থল হিসেবে ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, আমাদের সংকট আরও প্রকট করে তুলেছে। পানির দেশের মানুষ আমরা পানির কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের খুব সীমিত, কিন্তু কর্মকাণ্ড যা আমরা করছি, অপরিকল্পিত উনড়বয়ন বা অপ্রয়োজনীয় ভোগের ব্যাপ্তি বাড়াতে তা অচিরেই আমাদের বিভিষিকাময় সময়ে টেনে নিয়ে যাবে। আমাদের মানুষের অন্তস্তলের মানবিকতা ফিরে পেতে এই দেশের নদীগুলো রক্ষা খুব জরুরি। বাংলার আবহমান রীতি ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা নদী, জলাশয় ছাড়া ধরে রাখা কখনোই সম্ভব নয়। নিরাশার চাষ বন্ধ করে এসেছে সময় বাঁচিয়ে তোলা নানা প্রয়াসে যেটুকু আছে এখনো অবশিষ্ট।
মঞ্চে:
সন্ধ্যারানী : ত্রপা মজুমদার
বিদেশি : রামেন্দু মজুমদার
মিঃ খান : গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত
বৃদ্ধ : পরেশ আচার্য
কালীদাস : রাশেদ শাওন
যুবক ১ : রবিন বসাক
যুবক ২ : নূর-জামান-রাজা
যুবক ৩ : নূরে খোদা মাসুক সিদ্দিক
বানরের মালিক : তামানড়বা ইসলাম
রেফারি : রবিন বসাক
বড় বানর : নাফিজ বাঁধন
ছোট বানর : কল্যাণ চৌধুরী
লোক ১ : সাইফ জোয়ারদার
লোক ২ : তানভীর হোসেন সামদানী
লোক ৩ : আব্দুল কুদ্দুস
লোক ৪ : নূরে খোদা মাসুক সিদ্দিক
বর্ণনাকারী : শেকানুল ইসলাম শাহী, তানভীর হোসেন সামদানী, সাইফ
জোয়ারদার, মোঃ আতিকুর রহমান, গুলশান আরা মুনড়বী
নেপথ্যে:
সহকারী নির্দেশক : রবিন বসাক
মঞ্চ ব্যবস্থাপনা : খুরশীদ আলম
প্রযোজনা সমন্বয়কারী : নাফিজ বাঁধন
মঞ্চ পরিকল্পনা : নূর-জামান-রাজা
মঞ্চ নির্মাণ : কাজী কালাম
মঞ্চ সহযোগী : পলাশ হেনড্রি সেন, শামীম রেজা, মিজানুর রহমান, রাফি
আহমেদ উৎস, দেব
আলোক পরিকল্পনা : ঠান্ডু রায়হান
আলোক প্রক্ষেপণ : পলাশ হেনড্রি সেন, সুব্রত মন্ডল
সংগীত পরিকল্পনা : শিশির রহমান
সংগীত দল : তানজুম আরা পল্লী, শেকানুল ইসলাম শাহী, আব্দুল কুদ্দুস,
নূর-জামান-রাজা, কল্যাণ চৌধুরী, সাইফ জোয়ারদার,
মোঃ আতিকুর রহমান, তানভীর হোসেন সামদানী, বিশ^জিৎ
বৈরাগী, বিমল দাশ, ফারজানা রাহমান মিতা, নূরুল
ইসলাম পারভেজ, সাব্বির আহমেদ
পোশাক পরিকল্পনা : নূরে খোদা মাসুক সিদ্দিক
গুলশান আরা মুনড়বী
সামগ্রী পরিকল্পনা : রবিন বসাক
সামগ্রী ব্যবস্থাপনা : শামীম রেজা
কোরিওগ্রাফি : রেজা আরিফ
সহকারী : আজামা শানুহু মৃন্ময়ী
কোরিওগ্রাফি দল : মুহাম্মদ মজিবুর রহমান জুয়েল, গুলশান আরা মুনড়বী, নূরে
খোদা মাসুক সিদ্দিক, রবিন বসাক, গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত,
কৌশিক কুমার মহন্ত, রুনা লাইলা, কানিজ ফাতেমা, নাফিজ
বাঁধন, মিজানুর রহমান শামীম, মাহ্মুদা আক্তার লিটা,
মহাম্মদ শামীম রেজা, রাফি আহমেদ উৎস, উমা সিং
মারমা, সানজিদা ইসলাম ডলি, মৃন্ময়ী কবির
পোস্টার ডিজাইন : দীপক রায়
প্রযোজনা উপদেষ্টা : ফেরদৌসী মজুমদার