১০ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার সন্ধ্যা ৫:৩০ মিনিট
নাসিরুদ্দিন নাদিম মঞ্চ, বহিরাঙ্গন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি
সমগীত গানের দল:
সংস্কৃতির অলিগলি, রাজপথে নিরন্তর লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই আসতে পারে পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের লড়াইয়ে লিপ্ত যে রাজনৈতিক প্রচেষ্টা, তার সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করবার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা প্রয়োজন। যে সংস্কৃতির চর্চা একটি বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার দাবীতে মানুষকে তার সাবলীল বিকাশের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট করে তোলে, সমষ্টির শক্তিকে-সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে শেখায়- সেই সংস্কৃতির কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে এবং জীবনে-যাপনে তার প্রয়োগ ঘটানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০২-এর ১ মে একটি শ্রমিক সমাবেশে গান গাওয়ার মধ্যদিয়ে সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ-এর পথচলা শুরু। সমগীত-এর কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘সমগীত গানের দল’। ইতোমধ্যে ‘হাওয়া’ শিরোনামে একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। গানকে প্রতিবাদের ভাষায় রূপ দিয়ে সমগীত তৈরি করেছে নিজস্ব একটি ধারা।
‘চোখের সামনে প্রতিদিন বোকা বোকা সূর্যটা উঠে- তবুও যা যা ঘটে গেছে আর যা যা ঘটেনি তার মধ্যে আমরা বাঁচি-মরি-হাঁসফাঁস করি। আর এসবেরই তুমুল অভিজ্ঞতা সমগীতের গানে উঠে আসে। তাই সমগীতের গান আমাদের চেনা মিহি স্বরের ভাঁজে মজে না- বরঞ্চ উস্কে দেয় শ্রোতাকে- প্ররোচনা দেয়। আহ্বান করে- ‘তুমি আমি মিলে আমরা’ হবার। মুনাফা ভিত্তিক বাজারি মতাদর্শের বিপরীতে তার পথচলা। সেখানে এক পাহাড়ী মেয়ের দৃপ্ত ভঙিমা যেমন থাকে- তেমনি থাকে ক্রসফায়ারে নিহত যুবকের আর্তচিৎকার- প্যাকেজ ভালবাসার প্রতি তীক্ষ্ণ শ্লেষ। এতেও কি শেষ হয়?…‘হাওয়া এসে দুলে দুলে’ ক্রসফায়ারে নিহত যুবকের প্রশ্ন, তা যেন আমাদের সবাইকে প্রশ্ন করে— তুমি কে?
বাংলা গানের এক বলিষ্ঠ ধারায় সমগীত উল্লেখযোগ্য সংযোজন। যে ধারা প্রতিবাদ-প্রেমকে হাতের মুঠোয় পুরে এগোয় আমাদের ব্যবহৃত সম্পর্কগুলোর অতিক্রমের চেষ্টায়। তাই সমগীতের গান শোনা এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।’
সমগীত-এর কেন্দ্রীয় গানের দলে আছেন: অমল আকাশ, বীথি ঘোষ, রেবেকা নীলা, খালেকুর রহমান অর্ক, ধীমান সরকার, অঞ্জন দাস, বিশ্বজিৎ দাস, সাইফুর রহমান, বিজন দাস, সুমিত দাস, সুশান্ত দাস।